বক্তার সমালোচনা ও বাস্তবতাঃ বক্তাদের অনেক সমালোচনা হয়।


যেমন-

১. বক্তা কন্টাক্ট করেন,তাই ভালো না।

২. বক্তা স্টেইজে উঠার আগেই ফুল পেমেন্ট চান।

৩. বক্তা ৫০/৬০ এর নিচে ডেট দেননা,তাই ভালো না।

৪. বক্তার কোন ইলম নেই, সব নকল আর গান গায়। 

৫. বক্তার ব্যবহার ভালো না!

৬. বক্তাকে ফোনে পাওয়া যায়না,বেশী ভাবে থাকে!

৭. তেলাওয়াত শুদ্ধ না,ফালতু! 

আরো অনেক ধরনের সমালোচনা হয়।কিন্তু দিনশেষে বাস্তবতা একেবারেই ভিন্ন! সমালোচনা শেষে বক্তা সম্পর্কে আয়োজকদের মুল্যায়ন। যেমন -

১. বড় বক্তাতো(!)তাই কন্টাক্ট করে। কন্টাক্ট যাই করুক তাকেই দরকার। 

২.  টাকা যা লাগে তাই দিবো, ৫০/৬০ কোন ব্যাপার না।জনগণ তাকেই চায়,সুতরাং পেমেন্ট আগেই দিবো!

৩. বক্তা মুর্খ এ কথা ঠিক, তবে গানের গলা সুন্দর। মাহফিল জমিয়ে রাখতে পারে। তাকেই দরকার। 

৪. অনেক বড় বক্তা,তাই ফোনে পাওয়া যায়না। এমন বিখ্যাত বক্তাই দরকার। 

৫. তেলাওয়াত শুদ্ধ না,অসুবিধা নেই। হাসি গান দিয়ে মাহফিল ধরে রাখতে পারে। সুতরাং তাকেই দরকার। 

মোটকথা, আয়োজক কমিটি যাদের সমালোচনা বেশী করে, পরবর্তী বছর তাদেরকেই আবার দাওয়াত দেয়।আর বক্তা যদি কন্টাক্ট না করেন,যদি ফোন নিজে রিচিভ করেন,যদি অগ্রিম না নেন, ডেট ফাঁকা নেই এই মিথ্যা কথা সত্যের মতো করে বলতে না পারেন, মাহফিলে যদি সময় মতো হাজির হন, যদি মাহফিল মিস না করেন,তাহলে তিনি আয়োজকদের কাছে কখনো বড় বক্তা হতে পারবেননা। 

এ দেশের ওয়াজের 

আয়োজকদের উদ্দেশ্য বেশী টাকা কালেকশন, 

বক্তার উদ্দেশ্য কাচা টাকা কামানো, 

 আর শ্রোতাদের উদ্দেশ্য বিনোদন! 

তাই আয়োজকদের এমন আয়োজন!